বেড়ে যাবে যে বুধ এবং শুক্রকে সে গ্রাস করে ফেলবে। এমন কি পৃথিবীর কক্ষপথ পর্যন্ত চলে আসতে পারে। তারপর সূর্যটা পর্মেসি কলিক, আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে আসবে এবং একদিন নিভে যাবে। যে সমস্ত গ্রহরা বেঁচে থাকবে তারা কিন্তু সেই অন্ধকার সূর্যকেই প্রদক্ষিণ করে যাবে।
সব নক্ষত্রই যে অতিকায় লােহিত নক্ষত্রে পরিণত হবে এমন কোন কথা নেই। যে নক্ষত্রের ভর অত্যন্ত বেশি তাতে এমন হতে পারে যে নক্ষত্রটির অভ্যন্তরে একই সংগে বিভিন্ন উচ্চ ভর সম্পন্ন নক্ষত্রের অভ্যন্তরে বিভিন্ন স্তরে মিথস্ক্রিয়ার ফলে ভারী মৌলিক কণার সৃষ্টি স্তরে হিলিয়াম, কার্বন, অক্সিজেন, নিয়ন ইত্যাদির সংযােজন অভিক্রিয়া চলতে পারে। এ ধরনের কোন নক্ষত্রের কেন্দ্রভাগে সর্বোচ্চ লােহা বা তার সমগােত্রীয় মৌলিক পদার্থ সৃষ্টি হতে পারে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রভাগ যখন লােহা বা অনুরূপ মৌলিক পদার্থ দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায় তখন কেন্দ্রের জ্বালানি আর থাকে না ।
কেন্দ্রভাগটি তখন চুপসে যেতে থাকে। তাতে যে বিপুল পরিমাণ শক্তি নির্গত হয় তার সংগে অন্যান্য স্তরের সংযােজন অভিক্রিয়ার শক্তি মিলিত হলে নক্ষত্রটির উজ্জ্বলতা অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায় এবং অনেক সময় নক্ষত্রটি বিস্ফোরিত হয়। এই বিস্ফোরণকে বলা হয় সুপারনােভা বিস্ফোরণ। সুপার নােভা বিস্ফোরণের ফলাফল খুবই চমকপ্রদ । স্বাভাবিক নাক্ষত্রিক বিবর্তনে লােহার চেয়ে ভারী কোন পদার্থের সৃষ্টি সম্ভব নয়।
এর জন্য প্রয়ােজন হয় প্রচন্ড শক্তির। এই শক্তি পাওয়া যায় সুপারনােভা বিস্ফোরণ থেকে । সুপার নােভা বিস্ফোরণের ফলে অধিক আনবিক ভর সম্পন্ন পদার্থের সৃষ্টি হয় এবং সৃষ্ট এই সৰ পদার্থের সংগে নক্ষত্রের অভ্যন্তরের যাবতীয় পদার্থ মহাকাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। ফলে কাছাকাছি কোন গ্যাসমেঘ থাকলে তা কলুষিত হয়। এসব গ্যাসমেঘ থেকে যেসব নক্ষত্র সৃষ্টি হয় তাদের বলা হয় দ্বিতীয় পুরুষের (second generation) নক্ষত্র।
আমাদের সূর্য এবং তার গ্রহ উপগ্রহ এই রকমের এক গ্যাসমেঘ থেকেই সৃষ্ট হয়েছে। তাই পৃথিবীর বুকে আজ আমরা যে বিভিন্ন রকমের বাস্তু পাই, এমন কি আমাদের এই দেহ যেসব পদার্থ দিয়ে তৈরি তা সবই সেই কোন এক কালে কোন এক নক্ষত্রের অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়েছিল। অর্থাৎ আমাদের দেহের প্রতিটি কোষ এবং রক্তে প্রতিটি উপাদান একদা গায়ে গায়ে মিশেছিল কোন এক নক্ষত্রের গর্ভে মানুষে মানুষে তাই ভাই ভাই সম্পর্ক বিজ্ঞান থেকে আমরা আজ এই মানবতার শিক্ষাই । মানুষে মানুষে যা কিছু বিভেদ দেখি তার প্রধান কারণ ধর্ম ও জীবনয়ার হতে প্রধান সারির আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ার পরে নক্ষত্রের জীবনে কি ধরনের পরিবর্তন আসে সে সম্পর্কে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ধারণা খুব একটা স্পষ্ট নয় বরং সে তুলনায় নক্ষত্রদের অন্তিম দশা সম্পর্কে তাদের ধারণা অনেক পরিষ্কার অভ্যন্তরের
জান প্রক্রিয়া যখন একদম শেষ হয়ে যায় তখনই নক্ষত্রের অন্তিম দশা সাধারণত: ত প্রকারের অন্তিম দশার কথা আমরা জানি। শ্বেত বামন নক্ষত্র, নিউট্রন নক্ষত্র এবং ই একটি নক্ষত্রের কেন্দ্ৰভাগের জ্বালানি যখন নিঃশেষ হয়ে যায় তখন অভিকর্ষণ নক্ষত্রটি সংকুচিত হতে থাকে এবং ঘনত্ব ক্রমশ বাড়তে থাকে বছতে বাড়তে এমন একটা পর্যায় আসে যখন নক্ষত্রটি অপজাত বস্তুতে (degenerate mane) পরিণত হয়। কোয়ান্টাম তত্ত্ব থেকে আমরা জানি যে, কোন দুটি ইলেকট্রন একই অবস্থা থাকতে পারে না।
এখানে অবস্থা হল একটি কোয়ান্টাম তকি ধরা কী ইলেক্ট্রনের অবস্থা নির্দেশিত হয় তার শক্তি, ভরবেগ এবং ঘূর্ণন দ্বারা দেখা যায় পরমাণুর কোন নির্দিষ্ট কক্ষে সর্বোচ্চ দুটি ইলেকট্রন থাকতে পারে হ সেই তাদের ঘূর্ণন হবে পরস্পরের উল্টো দিকে। অর্থাৎ একধিক ইলেনের শক্তি ভালাে এবং ঘূর্ণন একই হতে পারে না। এই নীতিকে বলা হয় অপবনতি এই তত আবিষ্কর্তা হলেন অস্ট্রীয় পদার্থ বিজ্ঞান উলফগ্যাঙ পাউলী। শুধু ইলেন নয়, হে কোন ফার্মিয়ন এই নীতি মেনে চলে। সমস্ত মৌলিক কণাকে কেন bosom এবং ফার্মিয়ন' (fermito) এই দুভাগে ভাগ করা যায়। যে সমস্ত কার ঘূর্ণন সংক তাদের ‘বােসন এবং যে সকল কণার ঘূর্ণন সংখ্যা অংশ তাদের মিয়া হয়। অতি উচ্চ ঘনত্ব অথবা চাপের অবস্থায় বােসন এবং ফমিন-এর সুফল হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন। বােসনের ক্ষেত্রে এই তত্ত্ব আবিষ্কার করেন ভারতীয় বিজ্ঞানী সত্যেন বােস এবং স্বয়ং আইনস্টাইন।
ফার্নিয়নের ক্ষেত্রে এই তত্ত্ব আবিষ্কার করেন এনরিকে কাম এবং পল ডিরাক। এই তত্ত্ব দুটি যথাক্রমে বেস- আইনস্টাইন হসন এবং স্থা ডিরাক পরিসংখ্যান নামে খ্যাত বােস এবং ফামির নাম অনুসারে যে -কং ফার্মিয়ন' নাম হয়েছে ইলেকট্রন, প্রােটন, নিউট্রন ইত্যাদি ফার্মিয়ন ক ফেল ‘বােসন' একটি নক্ষত্র যখন কেন্দ্রের জ্বালানি শেষ করে অভিকর্ষীয় মত চুপসে যেতে থাকে তখন এমন একটা পর্যায় আসে যখন ইলেকট্রনগুলাে বিদ্রোহ করে কেননা অতি অল্প আয়তনে অধিক সংখ্যক ইলেকট্রনকে চুপসে দিতে গেলেই সব গতি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মায়ের এই অৰত্বকে না হয় অপছত অহ এই ইলেকট্রনগুলাে তখন যে চাপ সৃষ্টি করে তাকে বলা হয় ইনকট অত নাক্ষরের ভর যদি সূর্যের ভলের ১৬ গুণ বা তার কম হয় তাহলে ইলেকলের অজত ।