উত্তর। ভূমিকা : ইসলামের বিরুদ্ধে কাফিরদের শত্রুতা অতিপ্রাচীন। বর্তমানেও এ ধারা প্রচলিত রয়েছে। (সা.)এর যুগে মুনাফিকরা মুসলিম নাম ধারণ করে যেভাবে ইসলামের ক্ষতিসাধন করেছে, বাহাই সম্প্রদায়ও বর্ত সেভাবে ইসলামি দাওয়াতের ক্ষতিসাধন করছে।
বাহাই সম্প্রদায়ের পরিচয় ও কার্যকলাপ : বর্তমানে ইসলামি দাওয়াতের বিরুদ্ধে অপতৎপরতায় নিয়ােজি সম্প্রদায়সমূহের মধ্যে বাহাই সম্প্রদায় অন্যতম। ইরানের আলী মুহাম্মদ আস-সিরাজী এবং হুসাইন আলী মাযন্দাবাম এ সম্প্রদায়ের প্রবক্তা। তারা দুজনেই শিয়া মতবাদের অনুসারি ছিল। আলী মুহাম্মদ সিরাজী নিজেকে মাহদি হিসেবে ঘােষণা করে বাবী মতবাদ প্রচার করে। হুসাইন আলী মাযন্দারানী ছিল আলী মুহাম্মদ সিরাজীর অনুসারী। পরে সে নিজেকে মাহদী এবং তারপর নবী বলে দাবি করে। তারপর বাহাউল্লাহ বা আল্লাহর প্রতিভূ উপাধি ধারন করে বাহাই মতবাদ প্রচার করতে থাকে। তার মতে তার পূর্বে আগমনকারী সকল ধর্ম প্রচারকগণই তার আগমনের সুসংবাদ দেয়ার জন্য আগমন করেছিল। আর তিনিই হলেন প্রতিশ্রুত মসীহ বা ত্রাণকর্তা। হুসাইন আলী আল-ইকান নামে একটি গ্রন্থ রচনা করে তাকে আসমানি গ্রন্থ বলে দাবি করে। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বাহাই সম্প্রদায়ের অনুসারি রয়েছে এবং তারা ইসলামের বিরুদ্ধে অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। ভারতে দিল্লির লােটাস বি্ডিং-এ ও বাংলাদেশে ঢাকার কাকরাইলে তাদের দু'টি প্রচার কেন্দ্র রয়েছে। তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের আস্তানা তৈরি করে বই-পুস্তক ওপ্রচার পত্র বিতরণ করে। তারা অত্যন্ত গােপনে তাদের প্রচারকার্য সম্পন্ন করে। তারা মুসলিম যুবকদেরকে টার্গেট করে নিজেদেরকে মুসলিম পরিচয় দিয়ে ইসলাম বিরােধী আকীদা বিশ্বাস ও নিয়ম-কানুন প্রচার করে। বাহাই সম্প্রদায় আন্তর্জাতিক ইসলাম বিরােধী শক্তির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। তারা মুসলিম মেধাবি ছাত্রদেরকে বিদেশে নিয়ে বড় বড় ডিগ্রি প্রদান করে এবং নিজেদের মতবাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের নিজস্ব জন্মস্থানে প্রেরণ করে।তাদের মাধ্যমেই তারা ইসলামি দওয়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, ইসলামি দাওয়াতের বিরুদ্ধে অপতৎপরতায় লিপ্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে বাহাই সম্প্রদায় অন্যতম। তারা ইসলামের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। এদের সম্পর্কে মুসলমানদের সচেতন থাকা অতীব জরুরি।