১। জীবিকাসত্ত্বাভিত্তিক কৃষি: কৃষক পরিবার মূলত নিজস্ব পারিবারিক চাহিদা ও সামাজিক চাহিদা পূরণের জন্য ফসল উৎপাদন করেন। তাই এই কৃষি জীবিকাসত্ত্বাভিত্তিক কৃষির পর্যায়ভুক্ত।
২। হস্তচালিত যন্ত্রপাতি: কৃষি জমির আয়তন ছোট হওয়ায় বড় বড় আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা যায় না। তাই কোদাল, লাঙল, কাস্তে, খুরপি প্রভৃতি হস্তচালিত কৃষি যন্ত্রপাতি ফসল উৎপাদনে ব্যবহার করা হয়।
৩। বহু ফসলি কৃষি: নিবিড় কৃষির দেশগুলিতে জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় ফসলের চাহিদা বেশি। তাই কৃষিজমিকে বছরের কোন সময় ফাঁকা না রেখে সারা বছর ধরে ফসল উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হয়।
৪। খাদ্য ফসল উৎপাদন: দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিবিড় কৃষিভুক্ত দেশগুলি অতি জনাকীর্ণ হওয়ায় খাদ্য ফসলের চাহিদা অত্যন্ত বেশি। তাই এই কৃষিতে খাদ্য ফসল উৎপাদনে অধিক গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এই কৃষিতে প্রধানত ধান চাষ করা হয়। এছাড়া গম, ইক্ষু, কার্পাস প্রভৃতি ফসল চাষ করা হয়।
৫। হেক্টর প্রতি উৎপাদন: এই কৃষি ব্যবস্থায় চাষের জমি ফাঁকা না রেখে সারা বছর ধরে ফসল উৎপাদন করা হয় বলে হেক্টরপ্রতি ফসল উৎপাদন বেশি হয়।
৬। মাথাপিছু উৎপাদন: নিবিড় কৃষির দেশগুলি অতি জনাকীর্ণ হওয়ায় মাথাপিছু ফসল উৎপাদনের পরিমাণ কম হয়।
৭। প্রকৃতি নির্ভরতা: এই কৃষিতে ফসল উৎপাদন জলবায়ু দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। উষ্ণতা ও বৃষ্টিপাতের প্রকৃতি অনুসারে বছরের বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করা হয়।
৮। কৃষক সমাজ: নিবিড় কৃষির দেশগুলিতে কৃষক সমাজ অশিক্ষিত ও দরিদ্র শ্রেনীর। তাই তারা ফসল উৎপাদনে আধুনিক প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারেনা।