সাম্প্রতিককালে দেশে ইভটিজিং অত্যধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাবার প্রেক্ষিতে ইভটিজিংবিরােধী আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন এদের গৃহীত নানা পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযােগ্য হলাে নতুন শিক্ষানীতিতে নৈতিক শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১. বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বখাটেদের কান ধরে উঠবস করানাে তথা সামাজিকভাবে লজ্জা দেবার পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে।
২.পারিবারিক ভাবে তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৩. এ বছরের বিগত মাসগুলােতে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে ইভটিজিং বিষয়ক সভা-সমাবেশ, সেমিনার, মানববন্ধন ও আলােচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪.স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মেয়েদের বিদ্যালয়ের সামনে সাদা পােশাকে পুলিশের টহলদার এবং সুন্দরী মহিলা পুলিশদেরকে ছাত্রী হিসেবে ব্যবহার করে বখাটে চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
৫.পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আলােচনা সভা, সেমিনার ও কনফারেন্স করে শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তা দানের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে।
৬. শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইভটিজিং বিরােধী সভা, সমাবেশ, র্যালি, সেমিনার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং বিগত ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে ছাত্রীদের উত্ত্যক্তকরণ প্রতিরােধ দিবস পালিত হয়েছে।
সরকার ইভটিজিংয়ের শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে কঠোর আইন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ।
৭.ইভটিজিং সম্পর্কে সতর্ক থাকা, এর পরিণতি সম্পর্কে রেডিও-টেলিভিশনসহ সকল প্রচার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার চালানাের ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
৮.ইভটিজিং বিষয়ে দেশের সব জেলা প্রশাসককে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
১০. সম্প্রতি সরকার ইভটিজিং প্রতিরােধের লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে একটি নতুন ধারা সংযােজনের ফলে ম্যাজিস্ট্রেটরা তথা ভ্রাম্যমাণ আদালত ইভটিজিং-এর অপরাধে তাৎক্ষণিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার ক্ষমতা পেয়েছেন।